• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আগামীতে আর কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না: ইউএনও ভেদরগঞ্জ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাপরাইলে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যে বোরো ধানের চারা রোপণ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা।

রবিবার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের পাপরাইলে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে ব্লক প্রর্দশনী স্থাপনের মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান সমলয় চাষাবাদ এর জন্য রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম, জেলা কৃষি প্রকৌশলী মোঃ মোকতার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে চ্যানেল আই শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি এসএম মজিবুর রহমান, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার মামুনুর রশিদ হাসিব, আল আমিন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ সোয়েব আকন্দ। এ সময় আরও স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, ‘সমলয় চাষাবাদ কার্যক্রমের আওতায় প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাপরাইলে ৫০ একর জমিতে কৃষকের ইউব্রিড জাতের বোরো ধান রোপণ করে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ট্রেতে চারা তৈরি করা হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে ব্লক প্রর্দশনী স্থাপনের মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের  বোরো ধান সমলয় চাষাবাদ কৃষকেরা প্রতি তিন বিঘা জমির জন্য ৯০ কেজি ইউরিয়া, ৬০ কেজি ডিএপি এবং ৫০ কেজি করে এমওপি সারসহ সমস্ত খরচ প্রণোদনার আওতায় পেয়েছে। আল্লাহ চাহেত ফলন পাঁকার শেষে আমরাই সরকারি ভাবে হার্ভেস্টারের  মাধ্যমে ধান কেটে ঝেড়ে চাষীদের ঘরে তুলে দিবো।‘চাষের সব কার্যক্রমই যন্ত্র দিয়ে করা হবে।’

প্রথান অতিথির বক্তব্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে। ফলে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে ক্ষেতগুলো ছোট ছোট। তাছাড়া, কৃষকেরা বিভিন্ন জমিতে বিভিন্ন সময়ে চারা রোপন করে। ফলে কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার সঠিকভাবে করা যায় না। ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে চাষ করলে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর হবে। কৃষকের সময় ও শ্রম খরচ কমবে। কৃষক লাভবান হবে।

তিনি বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রতি একর জমিতে ১ ঘন্টায় ধানের চারা রোপণ করা যায়। এর ফলে একর প্রতি কৃষকের খরচ কমবে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। আগামী ৪-৫ বছর পরে আর কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না। আমাদের স্বপ্ন সারথী জাতির পিতার কন্যা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকী করন করেছেন।