• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ মার্চ পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: 
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন,আওয়ামীলীসহ বিভিন্ন রাজনৈতি ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষন দিবস পালন করেছে।

দিবসে কর্মসূচীর মধ্যে ছিল,যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন,শিশু কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন উপস্থাপন,চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা,দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত,জেলা উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উপর ভিত্তি করে ডকুমেন্টারী প্রর্দশন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।

সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা,বীর মুক্তিযোদ্ধা,আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাফিউল মাজলুবিন রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, সরকারি এম এ রেজা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুদ্ধকালিন কমান্ডার হাজি আবদুর মান্নান রাড়ি, উপজেলা আওযামীলগ সাধারণ সম্পাদক হাজি আবদুর মান্নান হাওলাদার,উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতানা রাজিয়াসহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ কৃষকলীগ এর পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,১৯৭১ সালের ৭ মার্চের সেই ভাষণে বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১৯ মিনিটের এক জাদুকরি ভাষণে বাঙালি জাতিকে স্বপ্নে বিভোর করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের লড়াই এবং স্বাধীনতা অর্জিত হয়।সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এদিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।’
 

বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ বাঙালি জাতির কাছে সব সময়ই বিশেষ কিছু। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো বিশ্ব ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করে ভাষণটিকে। সংস্থাটি বিশ্বের ৭৮টি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও বক্তৃতার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণও অন্তর্ভুক্ত করে।  

১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সামরিক শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ তথা বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। জবাবে ক্ষুব্ধ বাঙালি রাজপথে নেমে আসে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়, তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দেন। ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি নতুন প্রেরণা খুঁজে পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।