• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

২৩ জুন আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় পদ্মা সেতু: শামীম

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: 

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা  প্রকল্পে ব্যায় ৩১৯ কোটি টাকা। নড়িয়া থেকে শুরু মাদারীপুর কালকিনি পর্যন্ত। আমরা এই প্রকল্পের গুনগত মান ঠিক রেখে দ্রুততার সাথে কাজ করার জন্য ২২ প্যাকেজে ভাগ করেছি। ইতোমধ্যে ৯টি প্যাকেজের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এই মাসের মধ্যে বাকি প্রক্রিয়া শেষ হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গুনগত মান ঠিক রেখে আমরা কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবো। শুধু তাই নয় সারা বাংলাদেশের মানুষকে নদী ভাঙনের হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করতে কাজ করছে সরকার।

আজ বুধবার (০৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নড়িয়া লঞ্চ ঘাটে শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের শুভ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু করতে বিশ্ব ব্যাংক যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের টাকায় আমি পদ্মা সেতু করবো। পদ্মা সেতু শুধু দৃশ্যমানই নয়, আগামী ২৩শে জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। পদ্মাসেতু বাস্তবায়িত হলে শুধু শরীয়তপুরই নয় দক্ষিণ অঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে। 

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার হাসানুজ্জামান খোকন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি টাকা। যা ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার লক্ষে কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নড়িয়া থেকে শরীয়তপুর সদর ও কালকিনি পর্যন্ত ১১দশমিক ৯৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হবে। যার মাধ্যমে নদীর দুই পাড়ের মানুষের সম্পদ রক্ষা পাবে।