• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করছে ‘জয় বাংলা এভিনিউ’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২২  

পদ্মার ভাঙন থেকে নড়িয়ার বিস্তীর্ণ জনপদকে রক্ষা করছে ‘জয় বাংলা এভিনিউ’। সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে মোক্তারেরচর পর্যন্ত এই বেড়িবাঁধে স্বস্তি ফিরেছে ভাঙনকবলিত হাজারো মানুষের মাঝে।

গত অর্ধ শতাব্দী ধরে নদীভাঙনে সর্বস্বহারা হচ্ছিল নড়িয়ার সুরেশ্বর, চণ্ডিপুর, কেদারপুর, মুলফৎগঞ্জ ও বাঁশতলার চরবাসী। শুধু ২০১৮ সালেই এর শিকার হয় এসব এলাকার সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার। 

‘নড়িয়া-জাজিরায় পদ্মানদীর ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে’ এক হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১০ দশমিক ০২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক। যা দুই উপজেলার নদীপারের মানুষকে রক্ষা করবে জমিজমা ও সহায়-সম্পদ হারানোর হাত থেকে। এর মধ্যে কাজ শেষে খুলে দেওয়া হয়েছে নড়িয়া অংশের আট কিলোমিটার সড়ক, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়বাংলা এভিনিউ’। 

স্থানীয় ভাঙনকবলিত লোকজনরা জানান, বছর তিনেক আগেও প্রায় চার থেকে পাঁচশ’ পরিবার এখানে ছিল। নদী ভাঙনের ফলে পরিবারগুলো অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিহির চক্রবর্তী বলেন, “২০১৮ সাল থেকে ২১ সাল শেষ হয়ে ২২ চলছে, এখন পর্যন্ত নতুন কোন ভাঙন দেখা যায়নি।”

২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এভিনিউটির উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, “আমরা এখানে ওয়াকওয়ে করেছি, জাউ গাছ লাগানো হচ্ছে। এখনও অনেক কাজ বাকী রয়েছে।”

প্রকল্পটির মোক্তারেরচরের পর থেকে বিলাসপুর পর্যন্ত জাজিরা অংশের বাকি ২ দশমিক ০২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ আগামী বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তখন নদীভাঙনের স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, “এই প্রকল্পের আওতায় মোকতারেরচর থেকে সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে সম্পূর্ণভাবে ডাম্পিং এবং প্লেসিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পথে।”

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা দুঃখ-কষ্টের অবসানের স্বপ্নে বিভোর নদীপারের দুই উপজেলাবাসী।