জাজিরায় মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২২

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, টমেটো, মরিচ, করল্লা, বেগুন, তরমুজ, স্কোয়াস ইত্যাদি ফসলে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় উদ্যান ফসল মালচিং পদ্ধতি এখন ব্যবহারিত হচ্ছে মাঠ ফসলেও। নানান জাতের সবজির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মালচিং প্যাপার কেবল মাত্র আদ্রতাই ধরে রাখছে না ফসলে যোগাচ্ছে পুষ্টিও। সেই সাথে কমছে আগাছা বালাই নাশকের ব্যাবহার। তাই কৃত্রিম মালচিং পদ্ধতি চাষাবাদে লাভবান হচ্ছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কৃষকরা।
সাদা পলিথিনে ঢাকা ফসলি মাঠ। তবে ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে উঁকি দিচ্ছে ঝাপালো পাতাসহ সবুজ গাছ। টাকা খরচ করে খেতকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়ার এই প্রযুক্তিকে বলা হয় কৃত্রিম মালচিং। মূলত মাটির আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও আগাছা থেকে খেতকে রক্ষায় মালচিং পদ্ধতি এখন সর্বত্র।
জানা যায়, জাজিরা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায়, একটি বেসরকারি এনজিও 'এসডিএস'র বাস্তবায়নে এবং 'পিকেএসএফ'র অর্থায়নে কৃষি ইউনিটের আওতায় ২০১৫ সালে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ছোট কৃষ্ণপুর লুৎফর আকন নামে একজন কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে প্রথম শসা চাষ করেন। শসা চাষ করে সফলতা পায় লুৎফর। সেই থেকে জাজিরায় মালচিং পদ্ধতিতে চাষ বাড়তে থাকে। এখন উপজেলায় প্রায় ২০০ একর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। শসা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, টমেটো, মরিচ, করল্লা, বেগুন, তরমুজ, স্কোয়াস ইত্যাদি ফসলে ইত্যাদির চাষ হচ্ছে।
লুৎফর আকন জানান, প্রথম অবস্থায় বাবার ১৬ শতক জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। মালচিং করে উন্নত জাতের শসা চাষ করেন। খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে আয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখন এলাকার ৬ বিঘা জমিতে একে একে শসা, করল্লা, চিচিংগা, টমেটো, ধুন্দুল চাষ করছেন। তাঁর জমিতে পাঁচ জন শ্রমিক কাজ করছেন। সবজি বিক্রি করে প্রতি বছর সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় হচ্ছে তাঁর।
জাজিরার মিরাশার এলাকার সুমন চোকদার, কুদ্দুছ মোল্লা ও মামুন শেখ মালচিং পদ্ধতি কৃষি খেতে গিয়ে দেখা যায়, শসা, করল্লা, চিচিংগা, টমেটো, ধুন্দুল গাছে ঝুলছে সবজি। কৃষকরা জানান, মালচিং বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। গাছপালার গোড়া, সবজিখেত ও বাগানের বেডের জমি বিশেষ পদ্ধতিতে ঢেকে চাষাবাদের পদ্ধতিকে বলে মালচিং। এখন প্লাস্টিক মালচিংয়ের ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারমূল্য ভালো থাকায় তাঁদের লাভ হচ্ছে।
এসডিএস'র কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: খাজি আলম বলেন, এসডিএস কর্তৃক বাস্তবায়িত পিকেএসএফ'র অর্থায়নে ২০১৫ সালে আমরা জাজিরার কৃষকদের মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করি এবং গবেষণাও করি। এতে দেখা যায় ফলন ভালো হয়। এই পদ্ধতিতে ঘাস হচ্ছে না, সারের পরিমান কম লাগে, গাছও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সর্বপরি এ পদ্ধতিতে চাষে রোগ জীবানু কম হয়। ফসল ভালো হওয়াতে কৃষক এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এ বছর উপজেলায় প্রায় ২০০ একর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করছি।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জামাল হোসেন বলেন, আমাদের বর্তমান পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সম্প্রসারণে একটি উদ্যোগ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে একদিকে যেমন খরচ কম লাগে, অন্যদিকে সেচ ও বালাই নাশক খরচ কমে। এছাড়া সূর্যের রিফ্লেক্সের কারণে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বছরের যে কোন সময় মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। এই মালচিং পদ্ধতির প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছি।
- ভারতে ‘আজীবন সম্মাননা’ পেলেন আলমগীর-রুনা লায়লা
- টাকা অপচয় করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
- আওয়ামী লীগের লড়াই দেশের মানুষের পক্ষে: বাহাউদ্দিন নাছিম
- রিমোট কন্ট্রোলে দল চালিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
- সেবার মান বৃদ্ধি করে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে: শামীম
- সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
- বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
- নাঈমের জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের স্বস্তি
- নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ইশান কারাগারে
- আমিরাতের প্রেসিডেন্টের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দেশে গমের কোনো ঘাটতি নেই
- বন্যায় সুনামগঞ্জের সঙ্গে ৪ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
- ঢাকায় বসে সমালোচনা না করে গ্রামে ঘুরে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
- হাজার কোটি টাকা পাচারকারীর জরাজীর্ণ বাড়ি, এলাকায় চাঞ্চল্য
- বিএনপি আসলে কী চায়, প্রশ্ন কাদেরের
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনার
- ‘পি কে হালদারকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে’
- রিয়ালকে রুখে দিল কাদিস
- এবার ক্যালিফোর্নিয়ার গির্জায় গুলি, নিহত ১
- টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিয়েছি, সবাই কথা বলতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
- অপরাধের নতুন কৌশল ইমো হ্যাক, গ্রেফতার তিন
- আসছে আরও ১০০ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- ‘পাকিস্তান গঠনের পরই বঙ্গবন্ধু বুঝে ছিলেন আমাদের পরাধীনতা বাড়বে’
- প্রথম ঘণ্টা অনায়াসেই কাটিয়ে দিলো শ্রীলঙ্কা
- সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
- রাজধানীসহ যেসব জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ডামুড্যায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
- ডিজিটালের পরবর্তী পদক্ষেপ স্মার্ট বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
- দেশে কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
- পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ চলছে, দেখা যাচ্ছে যেসব জায়গায়
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র- নাহিম রাজ্জাক
- মোংলায় পৌঁছেছে মেট্রোরেলের নবম চালান
- দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো: কৃষিমন্ত্রী
- ১০ কি.মি. ওয়াকওয়ে শরীয়তপুরের মানুষের এখন আনন্দের খোরাক
- ভেদরগঞ্জে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষনে উদ্বুদ্ধকরণ সভা
- পি কে হালদার গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা দেশের দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নীচে নামিয়েছে : উপমন্ত্রী
- আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার
- শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝির ঘাটে চালু হলো আরেকটি নতুন ফেরিঘাট
- প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর পাচ্ছে শরীয়তপুরে ১৭০ জন উপকারভোগী
- ‘আরআরআর’ ও ‘কেজিএফ ২’ নিয়ে নওয়াজের উপহাস!
- ভেদরগঞ্জে ৩১ জনের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- শরীয়তপুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা কমিটির সভা
- প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে মুক্তিপণ নিতেন তারা
- বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- তেঁতুলতলা মাঠে থানা হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাজিরায় মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা
- ‘গুড বাই বাংলাদেশ’ স্ট্যাটাসের পর বিমানবন্দরে গ্রেফতার ডাকাত সর্দার
- আন্তসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরত্বারোপ
- যে দুই ধরনের রোগীদের জন্য ছোলা মারাত্মক ক্ষতিকর