• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরের মঙ্গল মাঝির ঘাটে চলছে আরেকটি নতুন ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা-মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথের জাজিরা মঙ্গলমাঝির ঘাট (সাত্তার মাদবর ঘাট) পয়েন্টে আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ কারণে জাজিরার মঙ্গল মাঝির লঞ্চঘাটটি ৪০০ মিটার পূর্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে লঞ্চঘাটটি স্থানান্তর করা হয়। ফেরিঘাটের জন্য সেখানে আনা হয়েছে নতুন একটি পন্টুন।

গত ১৮ এপ্রিল জাজিরা-শিমুলিয়া নৌপথ পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। তখন তিনি সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটে আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির প্রকৌশল বিভাগ ২০ এপ্রিল থেকে ওই ফেরিঘাটের নির্মাণকাজ শুরু করে। এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সেখানে আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গল মাঝির ঘাটের যেখানে লঞ্চঘাট ছিল, সেই স্থানেই ফেরিঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে ওই স্থান থেকে ৪০০ মিটার পূর্ব দিকে লঞ্চঘাট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লঞ্চঘাট সরিয়ে নেওয়ায় লঞ্চ  যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা বেড়েছে। যাত্রীদের মালামাল নিয়ে হেঁটে লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে।

লঞ্চ যাত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, আগে বাস অথবা সিএনজি থেকে নেমেই লঞ্চে উঠতে পারতাম। লঞ্চঘাটটি সরিয়ে নেওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ৩০০ মিটারের মতো আমাদের হাঁটতে হয়। সন্তান ও মালামাল সঙ্গে থাকলে অনেক কষ্ট হয়।

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথের শুল্ক আদায়কারী সাইদুর রহমান বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যানযট কমাতে মঙ্গল মাঝির ঘাট এলাকায় আরেকটি ফেরি ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই জাজিরার মঙ্গল মাঝির লঞ্চঘাটটি ৪০০ মিটার পূর্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথের ট্রাফিক সুপারভাইজার আবদুল্লাহ ইনাম বলেন, এ নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতি ২০ মিনিট পরপর লঞ্চগুলো ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। লঞ্চঘাট সরিয়ে নেওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ বেড়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশল বিভাগের কার্যসহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল বলেন, ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ফেরিঘাটটির নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। ২৮ এপ্রিল থেকে এ ঘাটে ফেরি চলাচল করতে পারবে আশা করি।

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথ দিয়ে শরীয়তপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। ওই নৌপথে ফেরি চলতে গিয়ে ২০২১ সালের ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে রো রো ফেরির। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরিগুলো পদ্মা সেতুর সঙ্গে কয়েক দফা ধাক্কা লাগে। এমন পরিস্থিতিতে ১৮ আগস্ট থেকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তখন থেকে শরীয়তপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চরম বিপাকে পড়েন। এরপর নদীর স্রোত কমে গেলে ওই নৌপথে দিনের বেলা স্বল্প পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়। জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় ২৫ আগস্ট নতুন করে একটি ফেরি ঘাট নির্মাণ করে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিটিএ। নাব্য সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ওই পথে ফেরি চালু করা যায়নি। ৮ ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলমাঝির ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়।