• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাজিরায় উচ্চমূল্যের নিরাপদ সবজি কন্দাল ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
জাজিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের কে কন্দাল ফসল চাষে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির পাশাপাশি উচ্চমূল্যের নিরাপদ সবজি হিসাবে কন্দাল ফসলের খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করন নিয়ে সাধারণ সচেতনতা সৃষ্টিতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ মে শনিবার জাপানি জাতের ওকিয়ানা মিষ্টি আলু মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মার সেতুর ল্যান্ডিং পয়েন্ট জাজিরা উপজেলা নওডোবা ইউনিয়নে চোকদার কান্দিতে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত)  কৃষিবিদ গোলাম রাসূল। জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃসিবিদ মোঃ জামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার  মোঃ কেরামত আলী মোল্লা।একই দিনে  বিকেনগর ইউনিয়নের পানি কচু প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ গোলাম রাসূল বলেন,আগামীতে জাজিরাতে কন্দাল ফসলের জন্য একটি মিরাকল হতে যাচ্ছে সেই সাথে পেয়াজ - পাট, রোপা আমন শস্য বিন্যাসের পরিবর্তে পেয়াজ + পানি/ লতিকচু- রোপা আমন একটি অধিক লাভজনক শস্য বিন্যাস হতে যাচ্ছে যেখানে সবজি হিসাবে একটি বাড়তি অর্থ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।  

ধান ও গমের পরেই দেশের কৃষিতে কন্দাল জাতীয় ফসলের অবস্থান। আলু, মিষ্টি আলু, ওলকচু, মুখীকচু, পানিকচু, লতিকচু, কাসাভা, গাছ আলুসহ অন্যান্য কন্দাল জাতীয় ফসলের উন্নয়নে  সরকার ১৫৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা খরচ করছে। ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ খরচ করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও কন্দাল ফসল উন্নয়ন  প্রকল্পের এর আওতায় ২৮ হাজার ৪৪০টি আলু ও কচু উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ১৫০টি বীজ সংরক্ষণাগার।তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ৬৯৮১ ব্যাচ কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষক, স্টেকহোল্ডার প্রশিক্ষণ , ২ হাজার ৮৪৪টি কৃষক মাঠ দিবস, ৪৫০ ব্যাচ উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ৩০০টি কৃষিমেলা আয়োজন করা হবে।

২০১৯ সালের মার্চ মাস  থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।কন্দাল ফসল চাষের উপযোগী মাটি, জলবায়ু ও চাষের চাহিদার ওপর ভিত্তিতে দেশের আট বিভাগের ৬০ জেলার ১৫০টি উপজেলাকে এই প্রকল্পের এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি আরো  বলেন, ‘গ্রামীণ, নিম্ন আয়ের মানুষজন কন্দাল জাতীয় ফসল বেশি ফলায় বা খায় বা ব্যবহার করে। আমাদের সরকারের সবকিছুর কেন্দ্রে জনগণ। জনগণের মধ্যে নিম্ন আয়ের জনগণ, নিম্ন -আয়ের মধ্যে গ্রামীণ জনগণ-এভাবে যদি আপনারা স্তরে স্তরে যান, তাহলে এটা তাদেরকেই অ্যাড্রেস করে। আলু তো আমরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করি। অনেক কন্দাল জাতীয় ফসেল আছে, যেগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় না। সেগুলোকে বাণিজ্যিক করতে ও উন্নয়ন করতে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’