• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রধানমন্ত্রীর সততা, স্বচ্ছতা সাহসিকতার ও দেশপ্রেমর উদাহরণ পদ্মাসেতু: নাহিম রাজ্জাক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক  বলেছেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা  এর সততা, স্বচ্ছতা ও সাহসিকা এবং দেশপ্রেমের উদাহরণ পদ্মাসেতুর।  বর্তমান সরকারের সাফল্যের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ  সাফল্য  হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করা। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদিয়ে আগামী ২৫শে জুন  সেতুর শুভ উদ্বোধন হবে।  আর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক তৈরী হবে। ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবার পাশাপাশি জীবন মানের উন্নয়ন  হবে।  এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক সৃষ্টি  হবে। নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন,শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে, শত বাধা উপেক্ষা করে,সকর ষড়যন্ত্র চক্রন্ত মোকাবেলার মাঝ দিয়ে  নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা। যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা  বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তিনি প্রমান করেছে বাঙ্গালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায়না।  সততা, স্বচ্ছতা ও সাহসিকা এবং দেশপ্রেম থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়। তারই উজ্জ্বল  উদাহরণ পদ্মাসেতুর শুভ উদ্বোধন।  

১১ জুন শনিবার  বেলা ১১ টায় গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামিলীগ কার্যলয়ে দলের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে গোসাইরহাট  উপজেলা আওয়ামীলীগ উদ্বোধনী জনসভায় যোগদানের প্রস্তুতি গ্রহনে এ সভার আয়োজন করে। 

গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্ব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো শাহজাহান দেওয়ানের সঞ্চালনায়  বিশেষ অতিথি ছিলেন  জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান ঢালী। 

নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা করেছেন বলেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য পদ্মার পাড় জনসমুদ্রে পরিনত হবে। ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন  উপলক্ষে অনুষ্ঠিত  জনসভাে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মিলনমেলয় পরিনত হবে। সেই সাথে  উৎসবের জনস্রোত হবে পদ্মার পাড়। এই জনস্রোত সফল করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সব শ্রেণী পেশার মানুষ হাজির হবেন পদ্মা পাড়ে। কারণ শেষ পর্যন্ত বাঙালির স্বপ্নের মিনার-পদ্মা সেতু চালু হতে যাচ্ছে। জাতীয় অহংকার ও সাহসের আরেক নাম পদ্মাসেতু।

নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুজনই দক্ষিণ বাংলার মানুষ। বাবার মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যাও এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন।একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই পারে পদ্মা সেতুর মত বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে। অথচ দলটির নেতারা পাগলের প্রলাপ করছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ভিশনারি লিডার। তিনি পদ্মা নদীর ওপর সেতুর শুধু স্বপ্নই দেখেননি তার বাস্তব দেখতে চেয়েছিলেন। সে স্বপ্ন এখন বাস্তব। নিজস্ব অথায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি  জাতীর সক্ষমতার প্রতীক সেটা প্রমাণ দিয়েছেন।