• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

চরকুমারিয়া বিট পুলিশিং বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২  


শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
“বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি”এশ্লোগানের মাঝ দিয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন চরকুমারিয়া ইউনিয়নেসামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন দৃড়করার লক্ষে বিট পুলিশিং বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চরকুমারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত  বিট পুলিশিং ও মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথি ছিলেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক। চরকুমারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক মোল্যা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়
বিশেষ অতিথি সহকারী পুলিশ সুপার (ভেদরগঞ্জ সার্কেল) মোঃ মুশফিকুর রহমান, এসময় চরকুমারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান আক্তারসহ চরকুমারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং টেকসই করতে হলে টেকসই সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার কোনো বিকল্প নেই।আর টেকসই আইনশৃঙ্খলার জন্য জনগণের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা অত্যাবশ্যক।পুলিশকে গণমুখী ও জনবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারি।আইনগত পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতার মাঝে এসব উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পুলিশের ভূমিকাকে আরও উজ্জ্বল করেছে এবং পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে পুলিশ-জনতা সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সরকারের উদ্যোগে জনবল বৃদ্ধির পর যদিও পুলিশ-জনতা অনুপাত এখনও আন্তর্জাতিক মানের অনেক পেছনে; তবুও নিঃসন্দেহে বলা যায়, বর্তমানে পুলিশের সক্ষমতাও অনেক বেড়েছে।
বিট কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিধি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তাদের রিপোর্টিং সিস্টেমও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজন বিট কর্মকর্তাকে ১৩টি সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এর পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে।

কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট থাকায় কোনোরকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই সব বিট কর্মকর্তা একই রকম দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। দায়িত্বগুলোর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হচ্ছে এলাকার মাদকবিষয়ক, ওয়ারেন্টধারী, অপরাধী, ভাড়াটিয়া ও প্রবাসীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা ও উঠান বৈঠক করা ইত্যাদি।
সম্প্রসারিত বিট পুলিশিং কার্যক্রমে থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে মামলা তদন্ত, আসামি গ্রেফতার, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এসব কর্মকা-ের মাধ্যমে একটি থানার প্রতিটি প্রান্তে নিবিড় পুলিশিং নির্ভুলভাবে করা সম্ভব হয়।