• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সরকারি ভর্তুকি মূল্যে ৩০টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার(১৭ মে) দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৫টি পাওয়ার ক্রেসার মেশিন (ধান মাড়াই যন্ত্র)  ও ১টি মেইন শেলার(ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র) ৬ জন কৃষকের হাতে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম, উপসহকারি কৃষি অফিসার আবু হানিফ, মামুনুর রশীদ হাসিবসহ  উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানাগেছে, সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় চলতি রবি মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৩০ টি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে পাওয়ার টিলার কাম সিডার মেশিন ,পাওয়ার ক্রেসার  ও  মেইন ক্রেশার। এরমধ্যে ৬টি মেশিন আজ বিতরণ করা হয়েছে। বাদবাকী ২৪ টি মেশিন দ্রুত বিতরণ করা হবে।

 ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি শ্রমিক নির্ভরতা কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ আমরা ৬টি মেশিন সরকারি ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করেছি। ১টি ভুট্টা মাড়াই মেশিনে সরকার ৪০ হাজার  টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। আর পাওয়ার ক্রেসার মেশিন প্রতি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। সরকার  ভেদরগঞ্জে ভর্তুকিমূল্যে ৩০ টি মেশিন বিতরণে অন্তত ১২ লাখ টাকার ভর্তুকি দিচ্ছে। আমরা কৃষকের হাতে এসব কৃষি যন্ত্রপাতি পৌঁছে দিচ্ছি। তাদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও পারামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  তারা এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে শ্রমিক খরচ সাশ্রয়ের মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদন করবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে শ্রমিক নির্ভরতা কমিয়ে তারা লাভবান হবেন।

 ভেদরগঞ্জ উপজেলার কৃষক ডিএমখালি ও চরকুমারিয়ার কৃষক সাইদুল ও নজরুল বলেন, অধিকাংশ কৃষি শ্রমিক এখন পেশা পরিবর্তন করেছেন। তারা অন্য পেশায় চলে গেছেন। জমিতে কষ্টের কাজ কেউ করতে চায় না। নতুন প্রজন্মও এ কাজে তেমন আসছে না। তাই আমাদের এলাকায়  কৃষি শ্রমিকের বড় অভাব দেখা দিয়েছে। ফসল আবাদ, কর্তণসহ বিভিন্ন কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। আমরা ফসল ফলাতে ও ঘরে তুলতে বিপাকে পড়ে যাই। তাই সরকার প্রধান আমাদের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে যান্ত্রিকী করণের উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। ভর্তুকিমূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি আমরা নিচ্ছি । ফলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হচ্ছে।  শ্রমিক খুবই কম লাগছে। এ পদ্ধতির চাষাবাদে সার-সেচ-বীজ পরিমানমত ব্যবহার করছি। এতে এগুলো সাশ্রয় হচ্ছে। সেই সাথে ফসল উৎপাদন বেড়েছে। এ কারণে কৃষি কাজে আমরা লাভবান হতে পারছি।