• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জব্দকৃত চাল গ্রিল কেটে সরানোর সময় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আটক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ সরকারি অনুমতি ছাড়াই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা চাল ও ১ হাজার ১০০ খালি বস্তা নিজ বাসভবনে মজুদ রাখার দায়ে গতকাল শনিবার দুপুরে বাসাটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একদিন পর রবিবার রাতে সেই সিলগালা বাসার গ্রিল কেটে জব্দ করা চাল ও চালের বস্তা সরিয়ে নেয়ার সময় আটক হন তিনি।

উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, শনিবার দুপুরে ভেদরগঞ্জ  উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং ১ হাজার ১০০টি খালি চালের বস্তা জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ওই বাসভবনটি সিলগালা করে দেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ বিষয়ে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দেয়া হয়। এই ঘটনার পর আজ রবিবার খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ ভেদরগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ থেকে কর্মচারী সজিব ছৈয়ালকে ভাড়া করে এনে বাসভবনের উত্তর দিকের জানালার ৪টি রড বৈদ্যুতিক মেশিন দিয়ে কেটে খাদ্য গুদামের নৈশ প্রহরী আবু হানিফকে ভেতরে পাঠিয়ে প্লাস্টিক ও পাটের বস্তাসহ বেশ কিছু সুতা সরিয়ে নিচ্ছিলেন।  বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে খাদ্য কর্মকর্তাসহ বৈদ্যুতিক কাটার মেশিন পরিচালনাকারী সজিব ছৈয়ালকে আটক করেন। এসময় পালিয়ে যায় নৈশপ্রহরী আবু হানিফ।

শরীয়তপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, জানালার গ্রিল কাটার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। বিষয়টি নিয়ে আমরা লজ্জিত। গতকালের ঘটনার পর তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল।

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ সন্ধ্যায় আমার কাছে একটি ফোন আসে যে সিলগালাকৃত বাসার গ্রিল কেটে জব্দকৃত চালের বস্তা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমকে মিথ্যা প্রমাণিত করার চেষ্টা চলছে। এই সংবাদ পাওয়ার পরেই আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিয়ে এসে উপজেলা খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদকে হাতেনাতে ধরি। তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুদককে জানাবো। দুদক তার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।