• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

কারো অপেক্ষায় নির্বাচন থেমে থাকবে না

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ স্বনির্ভর শরীয়তপুরের স্বপ্নদ্রষ্টা, ইয়াং বাংলার আহবায়ক আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন মহাকাশ নিযে গবেষণা  করেন।তেমনি একজন সাধারণ মানুষ  কিভাবে ভালো থাকবেন  সে কথাও চিন্তা করেন।  অপর দিকে
বিএনপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট৷ তারা দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়৷ দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। তিনি বলেন কেউ নির্বাচনে অংশ না নিলে তার অপেক্ষায়  নির্বাচন থেমে থাকবে না।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) তার নির্বাচনী এলাকার  ভেদরগঞ্জ উপজেলার সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর আওতাধীন উপকার ভোগীদের বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ভেদরগঞ্জ সরকারি এম এ রেজা কলেজে মাঠে  অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার  আবদুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক হাজি আবদুল মান্নান হাওলাদার, ভেদরগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল বাশার চোকদার, উপজেলা আওয়ামিলীগ সহসভাপতি আব্দুল জব্বার রাড়ি, মহিষার ইউনিয়ন  পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মোঃ অরুন হাওলাদার, ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন, রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বিপ্লব সিকদার, নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী সালাহউদ্দিন মাদবর,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ রাড়ি,সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের পক্ষে  রেহানা বেগম, সাধারণ সদস্যদের পক্ষে  মনিরুজ্জামান হাওলাদার।
নাহিম রাজ্জাক  বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া যে কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে৷ কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই৷ নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানেই দেশবিরোধী কথা বলা৷ যারা দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য দেবে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে৷ সরকার, জনগণ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের যাত্রাকে অব্যাহত রাখা৷
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক৷ বিএনপি যে বলে, তাদের এতো জনপ্রিয়তা সেটি তারা যাচাই করুক৷ কিন্তু তারা তো ২০ মিনিটেই ময়দান ছেড়ে চলে গেছে৷ তারা কতটুকু মাঠে নামে আমরা একটু দেখি৷ তাদের এত জাঁদরেল নেতা আছে যারা আওয়াজ শুনেই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছে! কোনো গুলি হয় নাই, কোনো টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়নি৷ তারা নির্বাচনে আসুক৷ এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা৷ কর্মীরা কতটুকু নামে৷ এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে৷
তিনি বলেন, নির্বাচনের অপেক্ষা তো আমরা করতে পারি না৷ নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ সেখানে একটা শিডিউল থাকবে৷ সেই শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে৷ সেই শিডিউলে তারা  নির্বাচনে এলে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে৷ আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক৷ যদি না আসে তাহলে দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে৷ কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো থাকবে৷ দেশের জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে৷ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে৷