• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে বের হতে পারছে না বিএনপি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২১  

অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমছেই না বিএনপিতে। মূলত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর থেকেই দলটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে অন্তর্কোন্দল বৃদ্ধি পায়। যার রেশ ধরে ২০০৭ সালে মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপিতে সংস্কারপন্থী দল তৈরি হয়। এরপর থেকে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে কখনোই বের হতে পারেনি দলটি।

সর্বশেষ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপি মহাসচিব করার পর যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্য রূপ নেয়।

সূত্র বলছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এবং ছাত্রদলের ২০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করার পর নয়াপল্টন কার্যালয়ে রিজভী আহমেদ বহিষ্কৃত কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠক করেন। বিষয়টি বিএনপি মহাসচিবের কানে গেলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিজভীর ওপর।

এছাড়া নয়াপল্টন কার্যালয়ে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সৌজন্য সাক্ষাত করেন রিজভী আহমেদের সঙ্গে। এ সময় বহিষ্কৃত দুজন নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নয়াপল্টন কার্যালয় থেকেই ফোনের মাধ্যমে দ্রুত সংবাদটি চলে যায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কানে। তখন মির্জা ফখরুল ফোনকারীকে বলেন, বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় আপদ হচ্ছে রিজভী। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তিনি রিজভী আহমেদকে দায়ী করেন।

এদিকে বিএনপির আরেক সূত্র জানায়, রিজভী আহমেদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে বসেই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে রিজভী আহমেদ যা করেন তার অনেক কিছুতেই অবগত নন মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

যেহেতু রিজভী আহমেদ সরাসরি তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করার সাহস রাখে না। যার কারণে দূর থেকেই রিজভীকে আপদ বলেছেন মির্জা ফখরুল। 

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিএনপির রাজনীতিতে স্বাভাবিক একটা বিষয়। কেননা এ দলে রাজনৈতিকের চেয়ে ব্যবসায়ী, আমলা ও টাকাওয়ালা লোকের সংখ্যা বেশি। তাই তারা দলের রাজনীতির চেয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি ব্যস্ত থাকে, যে কারণেই তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।