• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ফিতরা দেওয়া যাবে যেসব মানুষকে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩  

রমজান মাসে ফিতরা একটা আবশ্যিক দান। এবছর রোজার ঈদে বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য জনপ্রতি ফিতরার সর্বনিম্ন হার ১১৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সর্বোচ্চ ফিতরা হবে ২,৬৪০ টাকা।
ইসলামি শরিয়াহ মতে, সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, গম, কিশমিশ, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মাঝে বিতরণ করা যায়। কিন্তু যাকে তাকে ফিতরা দেওয়া যাবে না।

কাকে ফিতরা দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যারা যাকাত পাওয়ার অধিকার রাখে, তারাই ফিতরার হকদার। এক্ষেত্রে নিজ পরিবার-পরিজনের মধ্য গরিব-অসহায়রাই ফিতরার প্রথম হকদার। আর একজনকে ন্যূনতম পূর্ণ একটি ফিতরা দেওয়া উত্তম। প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে কয়েকজনের ফিতরাও একজনকে দেওয়া যেতে পারে।
 
সুরা তাওবার ৬০ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য, এই হলো আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’

এ আয়াতে যাকাতের ৮টি খাতের বিবরণ তুলে ধরেছেন আল্লাহ তআলা। আর সেই লোকেরাই ফিতরা গ্রহণ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

ফকির

প্রয়োজন পূরণ হতে পারে এমন সম্পদ বা উপযোগী হালাল উপার্জন না থাকা ব্যক্তিদের ফকির বলা যায়। তারা জীবন ধারণের জন্য অপরের ওপর নির্ভরশীল।

মিসকিন

কোনো ব্যক্তির কাছে থাকা সম্পদ দিয়ে তার ওপর নির্ভরশীল লোকদের প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট না হলে তাকে মিসকিন বলা যায়।

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি

ঋণের ভারে জর্জরিত, যার ঋণ পরিশোধের কোনো অবস্থান নেই- এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করা যাবে।

জাকাত ওঠানোয় নিয়োজিত ব্যক্তি

জাকাত আদায়কারী, সংরক্ষণকারী, পাহারাদার, লেখক, হিসাবরক্ষক এবং তার বণ্টনকারী সবাইকে জাকাতের ফান্ড থেকে বেতন দিতে হবে।
 
দাসমুক্তি

যে ক্রীতদাস তার মুক্তিলাভের জন্য অর্থ দেয়ার বিনিময়ে চুক্তিবন্ধ হয়েছে কিংবা কোনো মুসলিম যুদ্ধবন্দিও এ খাতের আওতায় পড়বে।

আল্লাহর পথে খরচ

আল্লাহর পথ বলতে আকিদা বিশ্বাস ও কাজের দিক দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয় যে পথ।

মুসাফিরদের জন্য

নিজ আবাসস্থলে সম্পদ আছে, এমন ব্যক্তি যদি সফরে গিয়ে বিপদগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয়, তবে তাকে সাহায্য করা যাবে।