• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশ আবৃত রাখে: সুরা নূর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৩  

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির পর অন্তরে আবেগ ও ভালোবাসা দিয়েছেন। পাশাপাশি এর সঠিক ব্যবহারের বিধানও জানিয়ে দিয়েছেন। যখন সঠিক স্থানে প্রয়োগের পরিবর্তে অনুপযুক্ত স্থানে প্রয়োগ হয়, তখন আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আল্লাহকে সন্তুষ্টির অন্যতম একটি হাতিয়ার হচ্ছে ‘হালাল ভালোবাসা’।
নারী পুরুষের ভালোবাসাও হালাল, যদি স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে সেই ভালোবাসা হয়। অপরদিকে ভালোবাসা হারাম, যদি পরনারী বা পরপুরুষের সঙ্গে হয়। বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষের বিয়েবহিভূত সম্পর্ক মারাত্মক নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনায় পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সম্পর্ক কেবল একটি অপরাধে সীমাবদ্ধ রাখে না; বরং হাজার অপরাধের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটায়। অবৈধ সম্পর্ক পরিবার ধ্বংসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। কখনো কখনো বিয়ে বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটায় এসব সম্পর্ক।

সুরা নূর, (৩০-৩১) এ আল্লাহ তায়ালা এ বিষয়ে পরিস্কার নির্দেশনা দেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘মুমিন পুরুষদেরকে বলো, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বলো, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীরা, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণ না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো’।

আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৩২)।