• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জৈব জ্বালানির অন্যতম উৎস সিগারেটের ফিল্টার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৪  

প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে চলছে কার্যকর, নবায়নযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির খোঁজ। অনবায়নযোগ্য উৎস থেকে মানুষের নির্ভরতা কমিয়ে টেকসই, নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
জ্বালানির এমনই এক পরিষ্কার উৎস হল বায়োডিজেল। বায়োডিজেল বা জৈব জ্বালানি পরিবেশবান্ধব। ভোজ্য ও অভোজ্য তেল, পশুর চর্বি এবং রেস্তোরাঁর বর্জ্যের মতো জৈবিক উপাদান থেকে তৈরি হয় এই বায়োডিজেল। তবে বায়োডিজেলের দাম অনেকটা বেশি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধান হলো সিগারেট। মূলত সিগারেটের বাড বা ফিল্টার, অর্থাৎ ধূমপানের পর যে অংশটা ফেলে দেওয়া হয়।

সিগারেটের ফিল্টারকে এতদিন পরিবেশ দূষণকারী বলেই বিবেচনা করা হতো। এখন সেই সিগারেটের ফিল্টারকেই বলা হচ্ছে বায়োডিজেলের অন্যতম উৎস। লিথুনিয়ার একদল গবেষকের গবেষণার ফল এটি। সিগারেটের ফিল্টার থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

গেল নভেম্বরে গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণার ফলাফল জার্নাল অব অ্যানালিটিকাল অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড পাইরোলিসিসে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার প্রধান লেখক সামি ইউসেফ বলেন, গবেষণায় আমরা পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কাজ করছি। তাই আমরা সবসময় বর্জ্য পদার্থের সন্ধান করি। সিগারেট তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি। তামাক, কাগজ এবং সেলুলোজ অ্যাসিটেট ফাইবার দিয়ে তৈরি একটি ফিল্টার। অনেক সংস্থা সিগারেটের বাট সংগ্রহ করে। তাদের থেকে এই বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে আমরা গবেষণা চালাই।

ইউসেফ আরো জানিয়েছেন, পাইরোলিসিস প্রক্রিয়ায় ৬৫০, ৭০০ এবং ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তারা সিগারেটের বাটগুলো তাপীয় পদ্ধতিতে পচিয়েছিলেন। বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর তারা বুঝতে পারেন, ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৪৩ শতাংশ ট্রায়াসিটিনের এক যৌগ উৎপন্ন হয়। এ যৌগই খরচ কমাতে বায়োডিজেলের সংযোজন হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।