কক্সবাজার রক্ষায় ২ হাজার ৫১ কোটি টাকার প্রকল্প
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বঙ্গোপসাগরের সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বাঁচাতে প্রতিরক্ষা বাঁধ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ১২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ( বাপাউবো) এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কক্সবাজার শহরকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা এবং পর্যটন সুবিধাদি আধুনিকায়ন, সমুদ্র সৈকতের ঝুঁকিপূর্ণ তিন কিলোমিটার প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে ভাঙন রোধসহ ১২ কিলোমিটার সমুদ্র পরিসীমার মাল্টি ফাংশনাল বাঁধ কাম রুট নির্মাণ করা।
এতে থাকবে ওয়াকওয়ে, সাইকেল বে, গাড়ি পার্কিং সুবিধা ও পর্যটকদের পরিদর্শন সুবিধা উন্নত করণে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাঁধের ভেতরে ও বাইরে থাকবে, ওয়াকওয়ে অর্থাৎ সমুদ্র সৈকতে নামার সিঁড়ি, কিডস জোন, তথ্যকেন্দ্র, লকার রুম, লাইফগার্ড পোস্ট, ওয়াশরুম স্থাপন, বসার বেঞ্চ ও সোলার লাইট স্থাপনের মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতকে আরো পর্যটনবান্ধব পরিবেশ করা হবে।
গত ১০ বছরের বেসরকারি এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২-৩ ফুট। ফলে প্রস্তাবিত শহররক্ষা বাঁধ কাম রোড়ের উচ্চতা ধরা হয়েছে সমতল রেখা থেকে ১২ ফুট।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজার অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে চার বছর। ২০২১ সালে শুরু হলে শেষ হবে ২০২৪ সালে। ১২ কিলোমিটার বাঁধ কাম রোডের প্রস্থ হবে ৪৫ ফুট, ভেতরের স্লোব হবে ২০ ফুট আর বাইরের স্লোব হবে ৩০ ফুট।
এছাড়া সাইকেল বে ১০ ফুট, ওয়াকওয়ে ৪৫ ফুট, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও গ্যাস লাইন হবে ১৫ ফুট। প্রতিরক্ষাবাঁধ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় আরো থাকবে, ফুটওভার ব্রিজ, সিটিং ফেসিলিটি, ল্যান্ডস্কেপ, প্রদর্শনী স্থান, তথ্যকেন্দ্র, শিশু পার্ক দুটি, বাস পার্কিং স্থান, আলোকসজ্জা, ইটিপি সমৃদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা, অ্যাকোরিয়াম, বাইরে রেস্তুরা, লাইফগার্ড স্টেশন, ভাস্কর্য ও বনায়নসহ ইত্যাদি নাগরিক সুবিধা থাকবে এ প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষাবাঁধ কাম রোড নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের আওতায়।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সাগরের পানির উচ্চতা ও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পড়েছে ভাঙনের কবলে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘ গবেষণার পর শহর রক্ষাবাঁধ কাম-রোড নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় এটি হাতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন বা অনুমোদনের আগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন কবলিত এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, কক্সবাজারের এ প্রকল্পটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ও পরিবেশবান্ধব বিধায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন কবলিত এলাকা বারবার পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।
তবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফোরকান আহমদ জানান, এত বড় প্রকল্প হাতে নেয়ার আগে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এলাকাটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বিধায় সাগরের ভাঙন টেকাতে এবং শহরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত ছিল।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার তাহমিদুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত শুধু কক্সবাজারবাসীর সম্পদ নয়, এটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনশিল্প সমৃদ্ধ জাতীয় সম্পদ। তাই এটিকে রক্ষা করতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি এখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। সেখান থেকে প্লানিং কমিশনে পাস হলেই টেন্ডার আহ্বান করা যেতে পারে। তবে এর আগে আমরা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ যেসব অংশীজন রয়েছে তাদের সঙ্গে বসে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ সাপেক্ষে কাজ শুরু করতে চাই।
আগে এ প্রকল্প নিয়ে একাধিকবার বসা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। প্রয়োজনে আরো একাধিকবার বসে দ্রুত কাজ শুরু করতে চাই আমরা। আশা করা হচ্ছে, আগামী এপ্রিল-মে মাস নাগাদ প্লানিং কমিশনের ছাড়পত্র নিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাজ শুরু করা যেতে পারে।
এদিকে সাগরের উত্তাল আচরণে শহরবাসী শঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানান কক্সবাজার পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। এরই মধ্যে ভয়াবহ সাগরের ভাঙন টেকাতে জেলা প্রশাসন ও বাপাউবো যৌথ উদ্যোগে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম : শামীম