• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

‘খেলাফত প্রতিষ্ঠা হলে ধরে ধরে জবাই করা হবে’ সেই বক্তা আটক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১  

মাহফিল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার দায়ে ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী নামে এক নওমুসলিম বক্তাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি খাইরুল উম্মাহ নামে একটি সমাজসেবী সংগঠনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কওমি মাদরাসার শিক্ষক বলে জানা গেছে।

রোববার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় তাকে আটকের খবর নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়ার এসএ সরকার রোডের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাতে গণমাধ্যমকে তাকে আটকের খবর নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় ইস্যুকে পুঁজি করে ওয়াসেক বিল্লাহর উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করার কয়েকটি ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। ওইসব বক্তব্য ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করাসহ মানুষকে ভিন্ন পথে ধাবিত করার একটি অপপ্রয়াস। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওয়াসেক বিল্লাহ এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মামলা দায়েরের পর সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জানা গেছে, ওই মাদরাসার নূরানি বিভাগের শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ জানান, নোমানীর বাড়ি ও জন্ম নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। এরপর থেকে তিনি ওই মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে আছেন।

নোমানী শহরের সানকিপাড়ায় সরকার রোডের ১১০/২ নম্বর বাড়ি ‘সুখ আলয়’-এ ভাড়া থাকেন। তবে একাধিক হেফাজত নেতার দাবি, নোমানী হেফাজতে ইসলামের কোনো কমিটিতেই নেই। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় নোমানীর বাড়ি।

সম্প্রতি একটি মাহফিলে দেওয়া মাওলানা নোমানীর বক্তব্য ভাইরাল হয়। সেখানে মুসল্লিদের সহিংসতার উসকানি দিতে দেখা যায় নোমানীকে। তবে বক্তব্যটি তিনি কবে দিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

৩ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নোমানী বলেন, ‘আল্লাহ যদি আমাদের তৌফিক দেয়, আর যদি ইনশাআল্লাহ খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারি; যদি আল্লাহ তৌফিক দেয় আর যদি ইনশাল্লাহ খেলাফত কায়েম করতে পারি, আল্লাহর কসম, আল্লাহর কসম, সংবাদ দেখার টাইম পাবি না। সংবাদ দেখার টাইম পাবি না। একটা একটা ধরব আর জবাই করব ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘যতদিন বাঁচব, বাঘের মতো বাঁচব। আর যদি মরতে হয় ইনশাআল্লাহ দুই চার দশটাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে এরপর মরব। সবাই রাজি আছি তো ইনশাআল্লাহ।’

উত্তেজিত কণ্ঠে নোমানী আরো বলেন, ‘এখন থেকে আর রক্ত দেব না, অনেক রক্ত দিয়েছি আমরা। এখন থেকে সাফ সাফ কথা। এখন থেকে আর রক্ত দেব না। কারা কারা তইয়ার? রক্ত নেব, রক্ত নেব, রক্ত নেব ইনশাআল্লাহ।’