• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

গোসাইরহাটে ভূমিহীন ৩০ পরিবার পেল ঘর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

শরীয়তপুর প্র‌তি‌নি‌ধিঃ

শরীয়তপু‌রের গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়ন মাছুয়াখালী গ্রা‌মে ভূ‌মি মন্ত্রণাল‌য়ের গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যা‌য় ক্লাই‌মেট ভিকাটমস রিহ্যা‌বি‌লি‌টেশন প্র‌জেক্ট (সি‌ভিআর‌পি) প্রকল্পে ঘর পেলেন ভূমিহীন ৩০ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্প‌তিবার (২৩ জানুয়া‌রি) সা‌ড়ে ৫টার দি‌কে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য না‌হিম রাজ্জাক তাঁদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পরিবারগুলো। 

এ সময় গোসাইরহাট উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হুসাইন, উপ‌জেলা প‌রিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, সা‌বেক চেয়ারম্যান সৈয়দ না‌সির উদ্দিন, উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি শাহজাহান শিকদার, গোসাইরহাট থানা পু‌লিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) ‌মোল্লা সো‌হেব আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোসা: তাহ‌মিনা চৌধুরী, ‌মেম্বার, স‌চিব, গন্যমান্য ব্য‌ক্তিবর্গ উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ সাল অর্থ বছ‌রে গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী ৩০টি ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় ভূ‌মি মন্ত্রণাল‌য়। ২০২০ সা‌লের ৯ জানুয়া‌রি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঘর পে‌তে উপ‌জেলার ৫৯টি প‌রিবার আবেদন ক‌রেন। আবেদ‌নের প‌রি‌প্রেক্ষি‌তে ভূ‌মিহীন ৩০টি প‌রিবার ঘর পান।‌ 

বৃহস্প‌তিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মিত ঘরে বসবাস কর‌বেন ভূ‌মিহীন বাসিন্দারা। এসব পরিবারের সদস্যদের বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করার জন্য ১০ পরিবার মিলে বসানো হয়েছে একটি করে মোট ৩টি নলকূপ। এক‌টি সৌর ‌বিদ্যুতের স্ট্রিট লাইট।

ই‌দিলপুর ইউনিয়নের বিন‌টিয়া গ্রা‌মের বাসিন্দা ক‌হিনুর বেগম বলেন, ১২ বছর আগে স্বামী ও শশুর বা‌ড়ির ঘর পদ্মা নদী‌ গ‌র্ভে চ‌লে যায়। আমার দুই ছে‌লে, এক মে‌য়ে । নতুন করে ঘর তৈরি করার সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের লোকজন নি‌য়ে ঢাকা উত্তরা থাকতাম। এখন নতুন ঘর পেয়ে একটা ঠিকানা হয়েছে।

নলমুড়ি ইউনিয়‌নের বাগান বা‌ড়ি গ্রা‌মের জু‌লে খাঁ ব‌লেন, আমার স্বামী নাই। তিন মে‌য়ে নি‌য়ে গোসাইরহ‌াট উপ‌জেলা প‌রিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আবুল খা‌য়েরের বা‌ড়ি‌তে থা‌কি। মানু‌ষের বা‌ড়ি বা‌ড়ি কাজ ক‌রি। আ‌গে ঘর ছিল না। সরকার ঘর দি‌য়ে‌ছে মে‌য়ে‌দের নি‌য়ে থাক‌তে পার‌বো।