• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া কে এই জয়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন শোভন-রাব্বানী। এর পর অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুইজন। নতুন ভাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব দেয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয়কে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেয়া হয় লেখক ভট্রাচার্যকে। এর পর থেকে সবার মধ্যেই আগ্রহ জাগে কে এই নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্রাচার্য।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী খান এর ছেলে আল নাহিয়ান খান জয়। জয়ের দাদা মোশাররফ হোসেন খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। ছোট বেলায় দাদার কোলে বসেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুনেছেন। চাচা আবদুল হালিম খান ও বাবা আবদুল আলীম খানের কাছে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা শুনে বড় হয়েছেন। তারা সবাই পরামর্শ দিয়েছিলেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শই যেন লালন করি।

বরিশাল জিলা স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি দেয়া জয় উপজেলা ছাত্রলীগেও সম্পৃক্ত ছিলেন। এসএসসি পাশ করে ঢাকা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন জয়। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই এই কলেজে ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে যায়।

এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন আল নাহিয়ান খান জয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। এর পর পরই তার ডাক আসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করে নেন জয়।

জয়ের বাবা আবদুল আলীম খান বিশিষ্ট সমাজ সেবক, বরিশাল বিভাগের গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে উপ-বৃত্তি প্রদান করে আসছেন। তিনি আশির দশকে ঢাকার বৃহত্তর বরিশাল ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাও ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ স্কুল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। চাচা মৃত আবদুল হালিম খানও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি আগরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন) থেকে চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন, থানা আ.লীগের আমৃত্যু সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে তিনি পটুয়াখালী ও বরিশাল উত্তর মহকুমার মুজিব বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

বিএনপি-জামায়াতের তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা হরতাল ও অবরোধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বোমাবাজদের ধরিয়ে দেয়ার কারণে পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে ডিএমপি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া, শেরে বাংলা স্মৃতি পদক ২০১৪ পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা স্মৃতি পদক ২০১৫ পাওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছে।