• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ ধূমকেতু!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১  

জুরাসিক যুগে প্রাণীকুলের যারা পৃথিবীতে বিরাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাইনোসর। চার পায়ের এই প্রাণীটি ছিল সেই সময়ের ত্রাস। দুই পায়ে ভর করে হাঁটা বৃহদাকার প্রাণীটির পাখাও ছিল। যে কারণে উড়তেও সক্ষম ছিল এটি। শরীরের আঁকার বৃহৎ হওয়ায় খাবার লাগত অনেক বেশি। তাই অন্যান্য প্রাণীদের নিজের ভোজ হিসেবেই গ্রহণ করত তারা। 

তবে ডাইনোসর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে বহুকাল আগে। তবে বিভিন্ন গুহাচিত্র, জীবাশ্ম, পায়ের ছাপ থেকে এই প্রাণীটির ব্যাপারে অনেক কিছুই জানা গেছে এখন পর্যন্ত। তবে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছিল মানুষকে। তা হলো ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ। আর এই বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই কাজ করছেন গবেষকেরা। এই রহস্য ভেদ হলে সেই সময়য়কার পৃথিবীর ভূগোল-বিজ্ঞান-ইতিহাস সবটাই জানা সহজ হবে। অবশেষে খুলল সেই সাড়ে ৬ কোটি বছরের রহস্যের জট। 

 

জুরাসিক যুগে ছিল ডাইনোসরের বাস

 

এ বিষয়ে অনেকটা আলো ফেলেছেন গবেষকেরা। তারা বলছে, ডাইনোসরদের বিলুপ্তির রহস্য লুকিয়ে। আর সেই রহস্য আছে মেক্সিকোর এক গহ্বরে। গহ্বরের নাম চিকসুলুব ক্রিয়েটার। গবেষকেরা দেখেছেন এই গুহায় ছড়িয়ে রয়েছেস্পেস ডাস্ট বা মহাজাগতিক ধুলা,পাওয়া গিয়েছে ইরিডিয়াম। এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের জীবাশ্মের সঙ্গেও পাওয়া গিয়েছে। এর মানে হল, এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের সময়েও ছিল।

গবেষকেরা বলছেন, চিকসুলুব ইম্প্যাক্টর হল এক দানব গ্রহাণু। যা পৃথিবীর উপর এসে পড়েছিল। এর ফলে মেক্সিকান পেনিনসুলায় এক বিশাল গহ্বর তৈরি হয়ে যায়। আসলে পেট্রোলিয়ামের খোঁজ করতে গিয়েই এই গহ্বরটির খোঁজ মেলে। আর তখনই বিজ্ঞানীদের টনক নড়ে। সেখান থেকেই শুরু হয় গবেষণা। মেলে মহাজাগতিক ধুলোও।

 

চিকসুলুব ইম্প্যাক্টর হল এক দানব গ্রহাণু

একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, অ্যাস্টেরয়েডরাই আমাদের গ্রহে প্রাণ বহন করে আনে। তারা নানা অণুজীব, বরফ ইত্যাদি বহন করে এনেছিল। ফলে সেই বিজ্ঞানীর দল, এই চিকসুলুবের তথ্যে উল্লসিত হচ্ছেন। তারা দাবি করছেন, এভাবেই ক্রমশ জানা যাবে, ধূমকেতুর মাধ্যমেই নানা রাসায়নিক কণা, নানা প্রয়োজনীয় জীবাণু, সমুদ্র এসেছে পৃথিবীতে। আর এতে পরিবেশে খানিকটা পরিবর্তন আসে। যাতে ডাইনোসর একেবারেই মানিয়ে নিতে পারেনি নিজেদের। এমনটাই ধারণা করছেন গবেষকরা।

এই চিকসুলুব-তথ্য যদি মান্যতা পায়, তবে এটা নিশ্চিত হবে যে, সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া ধূমকেতুর মাধ্যমেই মারা পড়েছিল তাবৎ ডাইনোসরকুল।