• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

তিন কুল: প্রত্যেক বস্তুর বিপদাপদের মোকাবিলায় যথেষ্ট (শেষ পর্ব)

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২০  

 

আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। (ইবনে-কাসীর)।
আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। (ইবনে-কাসীর)।

সূরা আন নাসের আরবি বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, নামকরণ, শানে নুযুল ও বিষয়বস্তু...
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা! আমাদের সবাইকে তিন কুল তথা ‘সূরা ইখলাস, ফালাক্ব এবং আন নাস’ এই ৩টি সূরার ওপর বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরো পড়ুন>>> তিন কুল : প্রত্যেক বস্তুর বিপদাপদের মোকাবিলায় যথেষ্ট (পর্ব-৪)

সূরা আন-নাস (আরবি: سورة الناس‎‎; মানবজাতি) পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআনের ১১৪ তম এবং সর্বশেষ সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১।

সূরা আন-নাস মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোনো কোনো বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সূরাটির ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু’আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।

নামকরণ :

সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সঙ্গে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে ‘মু’আওবিযাতাইন’ (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাজিলও হয়েছে একই সঙ্গে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।

শানে নুযুল :

সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সঙ্গে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহুদি রাসূলুল্লাহ‌ (সা.) এর ওপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হজরত জিবরইল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহুদি জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দু’টি পড়ে ফুক দেয়ায় গিরুগুলো সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ এর ওপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-কে বললেন: আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তায়ালা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বলল: ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল: কে জাদু করেছে? উত্তর হলো, ইহুদিদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ’সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলো: কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হলো, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হলো, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হলো, খেজুর ফলের আবরণীতে ‘বির যরোয়ান’ কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) তিনি কূপে গেলেন এবং বললেন: স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।

মুসনাদে আহমদের রেওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর এই অসুখ ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।

সূরা ফালাক: আরবি, বাংলা ভাষায় অর্থসহ উচ্চারণ এবং বাংলায় অনুবাদ-

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অনুবাদ : পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)

(১)
قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ
ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।
অনুবাদ : বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,

(২)
مَلِكِ ٱلنَّاسِ
মালিকিন্নাস।
অনুবাদ : মানুষের অধিপতির,

(৩)
إِلَـٰهِ ٱلنَّاسِ
ইলাহিন্নাস।
অনুবাদ : মানুষের মা'বুদের

(৪)
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।
অনুবাদ : তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে, 

(৫)
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
আল্লাযি ইউওয়াস ইসু ফী সুদুরিন্নাস।
অনুবাদ : যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে 

(৬)
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
অনুবাদ : জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

হাদিস :

আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। (ইবনে-কাসীর)।

সহিহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের এর বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি এমন আয়াত নাজিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অর্থা ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক এবং ক্বুল আউযু বিরাব্বিল নাস আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ অন্য কোনো সূরা নেই।

এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সা.) ওকবা ইবনে আমেন-কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অতঃপর মাগরিবের নামাহে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেন, এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা শেষে বিছানা থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো।

অন্য হাদিসে তিনি প্রত্যেক নামাজের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। (আবু দাউদ, নাসায়ী)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে খুঁজতে বের হলাম। যখন তাকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেন, বলো। আমি আরজ করলাম, কি বলব? তিনি বললেন, সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। (মাযহারী)।

বদনজর, যাদু, জ্বীন-শয়তানের প্রভাবসহ আরো অন্যান্য সমস্যা থেকে নিরাপত্তার জন্য দৈনন্দিন আমলসমূহ-

বদনজর, জাদু, জিন-শয়তানের প্রভাব সহ আরো অন্যান্য সমস্যা থেকে আল্লাহর রহমতে নিরাপদ থাকার জন্য নিম্নের আমলগুলো যথেষ্ট হবে, ইনশাআল্লাহ!

সকাল-সন্ধ্যার আমলসমূহ :

(১) আয়াতুল কুরসী= ১ বার, ৩ কুল= ৩ বার।

(২) সূরা তাওবার শেষ আয়াত= ৭ বার। (حَسْبِيَ اللَّهُ لا إِلَهَ إِلا هُوَ ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ، وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ)

(৩) أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ= ৩ বার।

(৪) بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ= ৩ বার।

(৫) لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ= ১০০ বার (সকালে), ১০ বার (সন্ধ্যায়)।

(৬) সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার= ১ বার। 

সাইয়েদুল ইস্তিগফার-বা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দোয়া-

মূল আরবি :

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ
উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা

অনুবাদ :

হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

এই দোয়া সকালে পড়ে রাতের আগে মারা গেলে অথবা রাতে পড়ে সকালের আগে মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে। (বুখারী-৬৩০৬)।

(৭) দরুদ শরিফ= ১০ বার।

আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবীব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর ওপর দরুদ পড়তে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দেন। আল্লাহ বলেন,

আরবি :

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ :

‘নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁহার ওপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।’ (পবিত্র কোরআন: ২২ পারা, সূরা: আহযাব, রুকু: ৭, আয়াত: ৫৬)।

রাসূল (সা.) এর প্রতি মুহব্বত নিয়ে দরুদ পাঠ করা উত্তম ইবাদত। রাসূল (সা.) নিজেও দরুদ পাঠ করার জন্য তাঁর উম্মতদের বলেছেন, রাসূল (সা.) দরুদ পাঠের ফজিলত ও মাহাত্ন্য উম্মতদের জানিয়ে দিয়েছেন। 

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

দরুদ শরিফ পাঠ করলে সহজে দোয়া কবুল হয়ে যায়। হজরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা তার নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজী শরিফ)।

দরুদে ইব্রাহিমের আরবি, অর্থ, উচ্চারণ :

আরবি :

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد
উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেওঁ ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ

অর্থ :

‘হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে নবী (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন।