পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সাথে জেলা পুলিশের মতবিনিময়

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ করোনা আতঙ্ক শেষ না হলেও জরুরী প্রয়োজনে ১ জুন থেকে শরীয়তপুরের সকল সড়কে যাত্রিবাহী পরিবহন চলাচল শুরু হবে। চলাচলের সময় পরিবহনে নির্ধারিত আসনের বিপরীতে কতজন যাত্রি বহন করা যাবে, সেই ক্ষেত্রে ভাড়া কত হবে এবং কিভাবে পরিবহনে যাত্রির সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এই সকল বিষয়ে জেলা বাস মালিক গ্রুপ নেতা, পরিবহন শ্রমিক ও অটো শ্রমিক নেতাদের সাথে জেলা পুলিশের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকাল ৫টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম উদ্দিন. ডিআইও-১ আজহারুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ উপপরিদর্শক রূপুকর, বাস মালিক সমিতির পক্ষে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মদ তালুকদার, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু বেপারী, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার, সাধারণ সম্পাদক আলী আজ্জম মাদবর, অটো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোতালেব ঢালী প্রমূখ।

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু বেপারী বলেন, ৬০ শতাংশ ভাড়া বর্ধিত করে ১ জুন থেকে জেলার সকল সড়কে তাদের পরিবহন চলবে। প্রতিটি গাড়িতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রি তারা পরিবহন করবে। পরিবহন চালক, কন্ট্রাকটর ও হেলপা মাস্ক পরিধান করে থাকবে এবং কোন যাত্রিকে মাস্ক ছাড়া বহন করা হবে না বলে জানিয়েছে আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

অটো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোতালেব ঢালী বলেছে, পালং বাজারের রাজগঞ্জ ব্রিজ থেকে আংগারিয়া পর্যন্ত পূর্বে ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। শুধু সেই সড়কে ৫ টাকা বর্ধিত করে ২০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য সকল সড়কে ভাড়ার কোন পরিবর্তন আনা হয় নাই। প্রতি অটোতে পূর্বে ৮ জন যাত্রি বহন করা হত ১ জুন থেকে প্রতি অটোতে ৪ জনের বেশী যাত্রি বহন করবে না তারা।
 

পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার বলেন, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আছে। তবুও সরকার গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। সেই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। যাত্রি পরিবহনের পূর্বে গাড়িতে স্যানিটাইজার ছিটাতে হবে। যাত্রি নামিয়ে আবারও স্যানিটাইজার ছিটিয়ে গাড়ি জীবানুমুক্ত করতে হবে। রাস্তায় চেক পোস্ট বসিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকেরা বিষয়টি তদারকি করবে। পাশাপশি পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতা ও শ্রমিক নেতাদের বিষয়টি তদারকির আহবান জানান তিনি।