• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পরিবেশ দূষণ রোধে ইসলাম কী বলে?

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

 

ক্রমশ বেড়ে চলছে পরিবেশ বিপর্যয়ের মাত্রা। বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও। পরিবেশ দূষণের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। 

বনভূমি ধ্বংস, অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা, যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা, নদীগুলোকে দূষিত করে তোলা পরিবেশ দূষিত হবার প্রধান কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

ইসলামি শরিয়ার অন্যতম একটা মাকসাদ হলো, প্রাণের সুরক্ষা। জীবনের হুমকি হতে পারে এমন সবকিছুই ইসলামে নিষিদ্ধ। প্রাণের সুরক্ষার জন্যই প্রয়োজন পরিবেশের সুরক্ষা। আর তাই পরিবেশ দূষণ হতে পারে এমন বিষয়গুলোকে ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ রোধের ফর্মুলা পেশ করেছে। নবিজি (সা.) গাছের নিচে, রাস্তায়, নদীর ধারে বর্জ্য ফেলতে নিষেধ করেছেন। কারণ, এ তিন জায়গায় বর্জ্য ফেললে একদিকে যেমন মানুষের কষ্ট হয়, অপরদিকে পরিবেশও দূষিত হয়।

পরিবেশ দূষণের রোধে বড় অবদান রাখে বনভূমি। ইসলাম বনায়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছে। বৃক্ষ রোপণের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। অযথা বৃক্ষকর্তনের ব্যাপারেও নিষেধ করা হয়েছে। 

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ বৃক্ষ রোপণ করলে, সেই বৃক্ষ থেকে যত মানুষ, পাখি বা পশু খাদ্য গ্রহণ করবে, তা বৃক্ষটি রোপণকারীর আমলনামায় একটি সদকা (দান) হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।’ [বুখারি ও মুসলিম] 

এছাড়াও নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করে, আল্লাহ তায়ালা বিনিময়ে তাকে এই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিদান দান করবেন।’ [মুসনাদে আহমদ]

সুতরাং পরিবেশ দূষণকারী সমস্ত অন্যায় কাজ থেকে আমাদেরকে নিবৃত থাকতে হবে। বনভূমি উজাড় প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের পরিবেশের সুরক্ষার জন্য বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ, পরিকল্পিত শিল্পায়ন, বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে।