• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বঙ্গমাতা বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন- শামীম

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন,বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মত অনুসরণ করেছেন তার প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য অবদান রেখেছেন। জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন, এজন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে। তিনি আজ ৮ আগস্ট শনিবার নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বঙ্গমাতার ৯০ তম  জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজি আব্দুল ওহাব বেপারীর, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড আবুল কালাম আজাদ, জহির সিকদার, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বাদশা শেখ, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, ঘড়িষার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুর রব খান, শহিদুল সিকদার প্রমূখ।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালির জাতির পিতাই হননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের সঙ্গে বিশ্বের আরেক খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজেভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, এলিনর রুজেভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রে চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ককলিন ডি রুজেভেল্টের স্ত্রী। বেগম মুজিব আর এলিনর রুজেভেল্ট দু’জনেই শৈশবে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন, দু’জনেই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দু’জনেই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে ছিলেন।

কখনও সংসারের কোনও সমস্যা নিয়ে তিনি জাতির পিতাকে বিরক্ত করেননি বা বলেনও নি। বরং বেশির ভাগ সময়ই তো বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। একটানা দুই বছরও তিনি কারাগারের বাইরে থাকেন নি। বঙ্গমাতা যখন বঙ্গবন্ধুর সাথে কারাগারে দেখা করতে যেতেন, তখন নিজেই বলতেন- চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নির্দেশনা দেওয়া বা বাইরের অবস্থা জেলখানায় থাকা বঙ্গবন্ধুকে জানানো ও তার নির্দেশনা নিয়ে এসে সেগুলো দলের নেতৃবৃন্দকে পৌঁছে দেওয়া । এই কাজগুলো তিনি খুব দক্ষতার সঙ্গে করতেন।'