• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে ট্যাক্স দিতে হবে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

বাংলাদেশে বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার বিধান রেখে একটি নীতিমালা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছি, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

একইসঙ্গে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ ডিটিএইচ’র (ডিরেক্ট টু হোম) বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে বিদেশি সিরিয়াল চালাতে সেন্সরবোর্ডের অনুমোদন লাগবে। পাশাপাশি শিগগিরই ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনাকে ডিজিটাল করার কাজ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশে টেলিভিশনের ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যখন দেশে শুধুমাত্র একটি মাত্র চ্যানেল বিটিভি ছিল, তখন বিটিভিতে ব্যাপক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হত। তখন বিদেশি কোনো শিল্পী দিয়ে যদি বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করা হত তার জন্য আলাদা ট্যাক্স দিতে হতো। আমরা সেই নিয়মটি পুনর্প্রবর্তন করার জন্য উদ্যাগ নিয়েছি। অবশ্যই মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে যে কেউ যে কাউকে দিয়ে, হলিউডের শিল্পী দিয়েও বিজ্ঞাপন বানাতে পারেন, অসুবিধা নেই। সেটির জন্য অবশ্যই অনেক বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। আমাদের শিল্পীদের বঞ্চিত করে বাইরের শিল্পী দিয়ে বানানোর একটা যৌক্তিকতাও থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক স্মার্ট। আমাদের অনেক মডেল আছে বিশ্বমানের। কিন্তু দেখা যায় আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি না করে বিদেশের দ্বিতীয় গ্রেডের শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানো হচ্ছে। যেটি সমীচীন নয়।

বিদেশি ডিটিএইচের বিরুদ্ধে ১৫ ডিসেম্বরের পর অভিযান হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের দুইটি কোম্পানিকে ডিটিএইচ’র (ডিরেক্ট টু হোম) লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশি ডিটিএইচ প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো অনুমোদন দেয়নি সরকার। কিন্তু অনেক জায়গায়ই দেখা যাচ্ছে বিদেশি ডিটিএইচ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব অবৈধ সংযোগ সরিয়ে নিতে হবে। এরপর আমরা ব্যবস্থা নেবো। অভিযানে যাদের কাছে ডিটিএইচ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এই অপরাধের জন্য কী শাস্তির বিধান রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি অপরাধ সংগঠন করলে অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড, অনধিক এক লাখ টাকা ও ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। আর দ্বিতীয়বার এই অপরাধ করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা ও নূন্যতম ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে।

বিদেশি সিরিয়াল চালাতে সেন্সরবোর্ডের অনুমোদন লাগবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং করে প্রচার হচ্ছে। একটি চলচ্চিত্র বানানোর পর যেহেতু সেন্সরবোর্ড হয়ে সম্প্রচারে আসতে হয়, সেখানে বিদেশি সিরিয়াল সেন্সর ছাড়া প্রচার হওয়া সমীচীন নয়। যারা প্রদর্শন করছেন তারা অনুমোদনের আবেদন করেছেন। যেহেতু এসব সিরিয়ালের কিছু দর্শক রয়েছে তাই সেগুলো চালানোর অনুমোদন দিচ্ছি। তবে ভবিষ্যতে যেন এসব সিরিয়াল সেন্সরবোর্ড হয়ে আসে সেজন্য কমিটি হচ্ছে।

বাংলা চ্যানেলগুলোর প্রথম দিকের সিরিয়ালে আসছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগে চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল মানা হচ্ছিল না। পরে আমরা ক্যাবল অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছি বাংলা চ্যানেলগুলো শুরুর দিকে রাখার জন্য। এজন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এখন ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে সিরিয়াল মানা হচ্ছে। কোথাও না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।