• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

ভেদরগঞ্জে নিরাপদ ও উচ্চ পুষ্টিমান ফসল উৎপাদন বিষয় প্রশিক্ষণ শুরু

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, কৃষি বিভাগ, স্থানীয় সরকার উন্নয়ন প্রকল্প ও জাইকার যৌথ উদ্যোগে ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে নিরাপদ ও উচ্চ পুষ্টিমান ফসল উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের শহীদ আক্কাস-শহীদ মহিউদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর-আল-নাসীফ। উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমীন।

কর্মশালার প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জাইকার প্রতিনিধি এনামূল কবির, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হাসিবুল ইসলাম মামুন। কর্মশালায় উপজেলার মোট ৬০ জন কৃষক অংশ গ্রহণ করেছেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর-আল-নাসীফ বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (্এলজিইডি) বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় নির্মিত প্রতিটি উপ-প্রকল্পে গঠিত পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্যভূক্তিতে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। যাতে করে সকল কার্যক্রমে নারী সদস্যরা অংশগ্রহণ করতে পারে। সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য নারী থাকে।

স্থানীয় জনগণ কর্তৃক চিহ্নিত ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ ১ হাজার হেক্টর বা ২ হাজার ৫০০ একর বিস্তৃত আবাদি এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন, পানি সংরক্ষণ এবং ভূপরিস্থ পানি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাঁধ, স্লুইস গেট, রেগুলেটর ও সেচ নালা নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ বা সংস্কার এবং খাল পুনঃখনন বা খনন করা হয়ে থাকে। প্রস্তাবিত এলাকায় পানি সম্পদ বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই এবং স্থানীয় জনগণের মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত উপ-প্রকল্প পরিকল্পনা ও নকশা চূড়ান্তকরণের পর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। নির্মিত অবকাঠামোসমূহ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণ কর্তৃক উপ-প্রকল্প এলাকায় নির্বাচিত পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির নিকট হস্তান্তর করা হয়।

একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয় জাইকার আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রাকার পানি স¤পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)। লক্ষ্য দেশের সার্বিক পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জাতীয় পানি নীতি অনুসরণে ও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অলোকে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রণয়ন করা হয়েছে। জাইকার আর্থিক সহায়তায় প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি। প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে ১৪৫টি নতুন প্রকল্প নির্মাণ এবং প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৩৬টি উপ-প্রকল্পে অতিরিক্ত উন্নয়ন ও ৯টি উপ-প্রকল্প মডেল হিসেবে ফ্লাগশিপ উন্নয়ন করা হবে। ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় বাস্তবায়িত উপ-প্রকল্প সমূহে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র কৃতিত্ব ও সফলতা মূল্যায়নের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ও ফ্লাগশিপ উন্নয়ন উপ-প্রকল্প নির্বাচন করে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার সুবিধা বৃদ্ধি, পাবসস অফিস নির্মাণ যদি নির্মিত না হয়ে থাকে এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা (এগ্রোবিজনেস) উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করা হবে।

এ ছাড়া ফ্লাগশিপ উন্নয়ন উপ-প্রকল্পে গুদাম তৈরি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ যেমন রাস্তা ও মার্কেট উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করা হবে। এই সমস্ত উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি উপকৃত হবে। নিষ্কাশনের উন্নতি এবং অধিক পানি সংরক্ষণের জন্য ভরাট খাল পুনঃখননে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে প্রকল্প এলাকায় নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।