• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে বিজয় দিবস ও মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির প্রস্তুতি সভা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস ২০১৯ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে ভেদরগগঞ্জ উপজেলা বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি গঠন ও প্রস্তুতি সভা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ হুমায়ুন কবির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা  চেয়ারম্যান আলহাজ হুমায়ুন কবির মোল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি আবদুল মান্নান বেপারী,মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান আকলিমা বেগম লিপি, সহকারী কমিশনার(ভুমি)শংকর চন্দ্র বৈদ্য,  ভেদরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম, সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  মোঃ এনামুল হক।উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানগন, সরকারের সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাগন।
 

বিজয় দিবস ও মুজিববর্ষ পালনে প্রস্তুতিসভায় সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, মহান বিজয় দিবস যেমন আমাদের জাতীয় গৌরবে তেমনি  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও আমাদের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রতি বছরের ন্যায় গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করবো। এর পর পরই শুরু হবে  ‘মুজিববর্ষ’ পালন। এ উপলক্ষে ২০২০ ও ২০২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই উপলক্ষে সরকারের জাতীয় কর্মসূচীর সাথে মিল রেখে আমরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্ক্ষ থেকে  ২০২০ সালের ১৭ মার্চ  থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচী পালন করা হবে। প্রতিবছর জাতির জনকের জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এবং ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার দিনটিকে স্মরণ করে জাতীয়  শোক দিবস পালন করা হয়।
তবে কোন জাতীয় ব্যক্তির জন্মশতবর্ষ মানে আরও বিশেষ কিছু অবশ্যই, যা ইতিহাসে চিরস্থায়ী দাগ  রেখে  যেতে সক্ষম হতে পারে। সঙ্গত কারণেই আমরা আশা করব  যে, মুজিববর্ষের বছরব্যাপী কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানমালা  তেমনই জাঁকজমকপূর্ণ, আকর্ষণীয় ও আড়ম্বরপূর্ণ হবে।
এর জন্য এখন  থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি  নেয়া আবশ্যক। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পূর্ণ হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর। আর ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছর। এ কথা বলতেই  হবে যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে  যেমন বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিলে অর্থহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশও। এ কথা  তো ইতিহাসের অবিসংবাদী সত্য  যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ  বোধ করি অপূর্ণ ও অধরাই  থেকে  যেতো।
আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব ভাষা আন্দোলন  থেকে শুরু করে শিক্ষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, সর্বোপরি সত্তরের অসহযোগ আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা তার নেতৃত্বে অর্জিত ।