• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

শরীয়তপুরে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের উপর কর্মশালা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর জেলা  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার শরীয়তপুর জেলা শহরের চিকন্দী ফুড পার্কে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান ফরাজী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ এন এম এনায়েত উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইডব্লিউআরএম ইউনিট এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিএনডি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাদারীপুর অঞ্চল খন্দকার মোঃ মাহাবুব হোসেন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আমির হামজা, জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ সুবোধ কুমার দাস, জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আঃ রউফ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজাতুন আসমা।

ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় জেলার ৬ উপজেলার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার, উপজেলা সমবায় অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ অংশ গ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসএসডব্লিউআরডিপি-২ উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও বাস্তবায়ন কর্মসূচী, উপ-প্রকল্প উন্নয়ন প্রক্রিয়া, উপ-প্রকল্প পরিচালনায় পানি ব্যবস্থাপনা, সমবায় সমিতির ভূমিকা এবং উপজেলা ভিত্তিক উপ-প্রকল্পের তালিকা, প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এ্যাকশন প্লান (আইডিএপি) বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, সমবায়, কৃষি উন্নয়ন, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, জেন্ডার উন্নয়ন ও উপ-প্রকল্প ওএনএম। জাতীয় টেকসই উন্নয়নের কৌশলের আলোকে আইডি-এপি বাস্তবায়নে এলজিইডি, সমবায় অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহায়তার প্রয়োজনীয়তা। আইডি-এপি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষনের উপর সম্পর্কিত পানি ব্যবস্থাপনার সমবায় সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদানে গ্রুপ ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান প্রকৌশলী এ এন এম এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি ভিত্তিক দেশ। গ্রামীন কৃষির উন্নয়ন এই  দেশের পানি সম্পদকে ঘিরে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে স্বাধীন হাইড্রোলোজিক্যাল একটি এলাকা  যেখানে স্থানীয় বন্যায় এলাকার জমির ফসল নষ্ট হয়, সেচের অভাবে ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায় অথবা জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। এসব ক্ষতি  যেন না হয় তার জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্যার কারনে ফসলহানীর সম্ভাবনা দুর করে  সেচের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে এবং জলবদ্ধতা দূর করে পতিত জমি চাষের আওতায় এনে শস্য ও ফসল উৎপাদন  বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীন দরিদ্রতা দূর করার লক্ষে এলজিইডির পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কাজ করে যাচ্ছে।

ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে উপ-প্রকল্প এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, কৃষিতে নানাবিধ কর্মসংস্থানের সুুযোগ সৃষ্টি, বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে সুস্থকতা, গরু  মোটাতাজা করণ, ছাগল, হাস মুরগী পালন, মাছ চাষ ইত্যাদি কার্য্যক্রমের ফলে একদিকে যেমন এলাকর মানুষের আয় বৃদ্ধি হয়েছে অন্যদিকে আমিষের ঘাটতি দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে চলছে। পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতিগুলো তাদের বিনিযোগ থেকে মুনাফা অর্জন করছে এবং সেই মুনাফা সদস্যদের মধ্যে লভাংশ হিসেবে বিতরণ করে থাকে।বর্তমান সরকারের এটি একটি সফল ও বাস্তবমুখী প্রকল্প ।