• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন শুরু

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২১জুলাই মঙ্গলবার থেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ শুরু হচ্ছে। যা চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সারাদেশে ন্যায় শরীয়তপুর জেলায়ও নানা কর্মসূচি   গ্রহণ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ এর প্রথম দিনে (২১ জুলাই)  জেলা ও উপজেলায় ব্যানার, ফেস্টুনসহ ঢ গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমুহ সজ্জিত করা হয়েছে। একইদিনে  জেলা ও উপজেলা সমুহের দর্শনীয় স্থানে অবস্থিত ডিজিটাল ডিসপ্লেতে মৎস্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের অবদান এবং অর্জন স্ক্রল ও টিভিসি আকারে প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া সপ্তাহব্যাপী জেলা-উপজেলায় মাইকিং, ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা, মৎস্য খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান, মৎস্য আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মৎস্য চাষীদের মৎস্য চাষ বিষয়ে নিবিড় পরামর্শ প্রদান, চাষীদের মাঝে মৎস্য চাষের উপকরণ বিতরণ প্রভৃতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুরে জাতীয় মৎস সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে  সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে পোনামাছ অবমুক্তকরনের মাঝ দিয়ে জেলার কর্মসূচি শুভ সূচনা করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  থেকে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শরীয়তপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলী সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা মৎস কর্মকর্তা আবদুর রউফ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুব রহমান শেখ, পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ , প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, বাংলাদেশের প্রণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাছ। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে এক জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ’। মৎস্য সেক্টরের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

মৎস্য খাতের বহুমুখী কর্মকান্ডকে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এ সেক্টরের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বপ্রথম জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কার্যক্রম ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সাল হতে দেশব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে।

১৯৯৮ সালে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে উল্লেখ করেন ‘জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মৎস্য চাষ ও সংরক্ষণ কার্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জাতির জনকের সোনার বাংলা করার ক্ষেত্রে মৎস্য সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং গণভবন লেকে মাছের পোনা অবুমক্ত করেন। মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নের ইপ্সিত এ গতির অন্যতম নিয়ামক হলো- ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন’। ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা, লাগসই মৎস্য প্রযুক্তি সম্প্রসারণ তথা জনগণের সচেতনতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই মৎস্য উন্নয়নের জন্যই প্রতি বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়।