• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে থানায় গাড়ি জমা রাখলেই মিলছে খাদ্য সহায়তা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২০  

 

করোনা প্রতিরোধে গেল ২৪ মার্চ থেকে শরীয়তপুরে গণ-পরিবহন ও যাত্রী বাহি পরিবহন চলা চল বন্ধরাখার নির্দেশ দিয়ছে স্থানীয় প্রশাসন। এর পরই আসে সরকারি ঘোষনা । সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ ও নিত্যপন্যের দোকান ছাড়া সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। তারই ধারা বাহিকতায় শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গত কয়েক দিন থেকে করা করি আরোপ করা হয়েছে অভ্যান্তরিন সড়কে অটোরিকসা ও রিকসা ও ভ্যান চলাচলের উপরও। সরকারের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটের দায়ে প্রায় প্রতিদিনই কিছু কিছু অটোরিকসা ও রিকসা চালক গাড়ি নিয়ে সড়কের বের হন। ওই চালকদের ঘর মুখি করতে ভিন্নধর্মী এক পদক্ষেপ নিয়েছেন নড়িয়া থানা পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার ভোর হতেই সড়কে বেড়িয়ে পরেন নড়িয়া থানা পুলিশের সদস্যরা। সকাল ছয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রিকসা ও অটো রিকসা মিলিয়ে ৮০ জনকে গাড়িসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরে  গাড়ি জমা রেখে প্র‌ত্যেকের হাতে ৫দিনের খাবার তুলে দেন নড়িয়া থানা পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। পাচঁ দিনের খাবার ফুরিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভা‌বিক না হলে আবার খাবার নিতে আসতে বলা হয়েছে ওই চালকদের। এখন থেকে সড়কে নয় থানায় গাড়ি জমা রাখলেই মিলবে প্রথমে পাচঁ দিনের করে খাবার। যার মধ্যে রয়েছে  ৫কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি ডাল, সাবান ও পিয়াজ। 

অটোচালক আলমগীর সরদার বলেন, সকালে ওসি স্যার আমাগো গাড়ি থানায় নিয়া গেছে। পরে গাড়ি জমা রাইখা আমাগো ত্রাণের প্যাকেট হাতে তুইলা দিছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়া প্যাটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হইতাম। অহন ৫দিনের খাবার দিছে পরে আবার যোগাযোগ করতে কইছে।  

নড়িয়া থানা পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, অটোরিকশা ও রিকশা চালকরা প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি নিয়ে বের হয়। তারা খেটে খাওয়া মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে এক মুঠু খাবারের জন্য তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হয়। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যো‌গে ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এ ব্যবস্থা ক‌রে‌ছি । যাতে তারা ঘরে থাকে। নিরাপদে থাকতে পারে।