• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শিশুকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা: দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সরদারকান্দি গ্রামের শিশু লিজা আক্তারকে (১৩) দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে এ আদেশ দেন। এছাড়া শিশুটির মরদেহ গুম করার অপরাধে দুজনকে

৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস করে জেল দিয়েছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তব্যক্তিরা হলেন- লিজার চাচা ফরিদ শেখ (৩৪) ও চাচাতো ভাই জাকির শেখ (২৮)।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, গত ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে সখিপুর থানায় একটি জিডিও করা হয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাটখেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। সখিপুর থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিজার বাবা লেহাজ উদ্দিন সরদার বাদি হয়ে মামলা করেন।

জানা যায়, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য লিজার মরদেহ মর্গে নিয়ে গেলে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। পরে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য শরীরের কিছু অংশ ঢাকা মেডিকেল ও মহাখালীতে পাঠায়।

তদন্ত শেষে সখিপুর থানার পুলিশ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।