• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সরকারের বিভিন্ন সহায়তায় ভেদরগঞ্জে গমের বাম্পার ফলন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ অনুকূল আবহাওয়া, সরকারে বিভিন্ন সহায়তা ও উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি রবি মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আবারো গমের আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। ধান চাষে বার বার লোকসান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে এই লাভজনক আবাদের দিকে নজর দিয়েছেন। বর্তমানে গমের বাজার ভালো থাকায় গম চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা, চলতি রবি মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার উপজেলার ১ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সরকারি বীজ সার ও প্রণোদনা প্রদানের ফলে ২ হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে। চলতি বছরে বারি গম-২৮, ২৯, ৩২ ও ৩৩ জাতের অধিক ফলনশীল গমের চাষ করা হয়েছে।

বর্তমানে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় মাঠে গমের সোনালী পাকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোনো কোনো জমিতে এখনো কিছু গমের শীষ কাঁচা রয়েছে। সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পর জমি থেকে চাষিরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন।

রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। লাভজনক এই গম চাষে চাষিদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত চাষিদের মাঝে উন্নত জাতের গমবীজ, সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে উপজেলা কৃষি অফিস।

ডিএম খালির গমচাষি মোরশেদ বেপারী, চরচান্দার মনসুর মোল্যা, সখিপুরের জুরাইন মন্ডলসহ অনেকেই বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। যদি আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুকূলে থাকে ও গমের বাজার ভালো থাকে তাহলে চাষিরা লাভবান হবেন।

গম চাষে তেমন পানি, সার, কীটনাশক, বালাইনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না বলে খরচ অনেক কম। আর কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও গমে পোকা-মাড়কের আক্রমনও তেমন একটা হয় না। গমের শীষ নেওয়ার পর গমের গাছ জ্বালানি ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এসব বিবেচনায় রাখলে নিশ্চিত করে বলা যায় গম চাষ একটি অধিক লাভজনক আবাদ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত গমে তেমন উল্লেখ্যযোগ্য কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন হয়নি। এছাড়াও গম চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি গম চাষের পর কৃষকরা ওই জমিতে ভালো ভাবে আউশ ধান কিংবা অন্য আবাদ করতে পারবেন। চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি প্রায় ১৬ মন হারে ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।