• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

২২ দিনে শরীয়তপুরে ১৫২৩ জেলেকে কারাদণ্ড

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ মা ইলিশ সংরক্ষণে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ ন‌ভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে শরীয়তপুরে ইলিশ ধরেছে কিছু অসাধু জেলে। তাদের প্রতিরোধ করতে মৎস্য বিভাগসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি ছিল শরীয়তপুর অংশের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে। তবুও থেমে ছিল না ইলিশ ধরা।

মৎস্য বিভাগের অভিযানসহ ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেলায় এই ২২ দিনে ১ হাজার ৫২৩ জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হ‌য়ে‌ছে। আর ২ হাজার ১৪০ জেলেকে আটক করা হ‌য়ে‌ছে।

জেলা মৎস্য অফিসের ফিসারিজ সার্ভে অফিসার আবুল খায়ের প্রধানীয়া জানান, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকে শরীয়তপুরে ২ হাজার ১৪০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৫২৩ জেলেকে কারাদণ্ড, আর ৬১৭ জেলেকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ মিটার জাল ও ৪ হাজার ৬১৪ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা, মাদরাসা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ এবং জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার ২২দিনে ২৩৩টি অভিযান ও ১৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ৫৯০‌টি ট্রলার, ১৫‌টি স্প্রীড বোট জব্দ করা হয়। এর থে‌কে নিলামকৃত আয় ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ‌মো. আব্দুর রউফ বলেন, ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে মৎস্য বিভাগ প্রতিনিয়িত অভিযান চালিয়েছে। তারপরও কিছু অসাধু জেলে রাতের আঁধারে ইলিশ ধরার চেষ্টা করেছে। ২২ দিনে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১৪০ জন জেলেকে আটক করা হয়। এবার আইন অমান্যকারীদের জরিমানার চেয়ে কারাদণ্ডই বেশি দেয়া হয়েছে। ত‌বে আজ বুধবার  (৪ ন‌ভেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত চল‌বে এ অ‌ভিযান।