• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

৩৫ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল শুনানিতে মুক্তি মিলেছে ৮৮৩ শিশুর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২১  

সারা দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিনে মুক্তি পেয়েছে ৮৮৩ জন শিশু। একই সময় নিম্ন আদালতে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৭১ জন হাজতি। 

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসের এই তথ্য জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের তথ্য মতে, গত ১২ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানি হচ্ছে।

গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসে সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ৯ হাজার ১২টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়ায়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। এই সময়ে মোট ৫৬ হাজার ৩৭১ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন পেয়ে কারাগার মুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভার্চুয়াল আদালতে একই সময়ে মোট জামিন পেয়েছে ৮৮৩ জন শিশু।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারির ব্যাপক বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা আদালত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং হাইকোর্ট জারি করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ায়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেওয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন নামা দাখিল করতে হবে। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।